দেশে ই-কমার্স অনেক শক্তিশালী হয়েছে 

digitalsomoy

বাংলাদেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ই-কমার্স অনেক শক্তিশালী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মত বাংলাদেশের মানুষ অনলাইনে শপিং করতে পারছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যেকোন পণ্য, যেকোন সেবা ঘরে বসেই নাগরিকদেরকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। গত ১৫ মাসে বিচারিক মামলা ভার্চুয়াল কোর্টে সম্পাদন হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার জামিন সম্পাদন করা হয়েছে। 

সোমবার (২১ জুন) নাটোর জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ, ইনক এর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। 

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আজকে দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, করোনাকালীন বর্তমান সরকার প্রায় দেড় কোটি পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া, ৮৬ লক্ষ কর্মহীন পরিবারকে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সেন্টাল এইড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সঠিক ব্যক্তিদের ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাঠিয়েছে। 

পলক আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন জরুরি প্রয়োজনে ৯১১ এ কল করে দ্রুত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় তেমনি আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষ ৯৯৯ ফোন করলে দ্রুত পুলিশ ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যায়। মাত্র চার বছরে প্রায় ২ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ এ সেবাটি পেয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা কালীন ই-ফাইলের মাধ্যমে গত ১৫ মাসে প্রায় ৩৮ লক্ষ ফাইল নিষ্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। ন্যাশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বর থেকে বিগত ৪ বছরে মোট ৩ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ সেবা নিয়েছে। ​জরুরি খাদ্য সহায়তা ছাড়া শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিগত ১৫ মাসে আইসিটি বিভাগের ডক্টরস পুলের মাধ্যমে দেশের ৪০ লাখ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে ৭৫’র পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কিন্তু কখনোই দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনে একটি কলসেন্টারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। দেশের মানুষের সেবার জন্য তারা কখনো ভাল কিছু চিন্তা করেননি।কিন্তু শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম বাংলাদেশে জরুরি কল সেন্টার স্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ১২ বছর আগেও আমরা নিম্ন আয়ের দেশে ছিলাম। শেখ হাসিনা দূরদর্শিতা, মেধা, সাহসিকতার ও সততা দিয়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত করেছেন। তার নেতৃত্বে প্রশাসনিক প্রায় সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নেয়া সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শরিফুল ইসলাম, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক এর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনক এর সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার।