মাতৃদুগ্ধ পানে এবং শিশুদের বুকের দুধ পান করতে মায়েদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করল বাংলাদেশ। বিশ্বের ৯৮টি দেশের মধ্যে এই শিরোপা পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (World Breastfeeding Trends Initiative (WBTI) নামে একটি সংস্থার রিপোর্টে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
তারা জানিয়েছে, মোট ১০টি বিষয়ের ওপরে ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯১.৫ নম্বর পেয়ে এই তালিকার শীর্ষে আছে। এই সংস্থা ১০টি সূচক এবং কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশকে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙের মর্যাদা দেয়। বাংলাদেশ পেয়েছে ‘সবুজ’। বাংলাদেশের সঙ্গেই এই সবুজ রঙ পেয়েছে শ্রীলঙ্কাও।
এই তালিকায়, শিশুদের মাতৃদুগ্ধ করানোর ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে ভারত। ভারত আছে ৭৯ নম্বরে। ওই তালিকায় নেপাল রয়েছে ৩৯ এবং মালদ্বীপ ১৯ নম্বরে আছে। শিশুদের বুকের দুধ পান করানোর ক্ষেত্রে কোন দেশ কেমন অবস্থানে আছে তা দেখার জন্য ২০০৪ সালে এই সমীক্ষার কাজ শুরু করে WBTI নামের এই সংস্থা।
ভারতের দিল্লিতে থাকা এই সংস্থার Global Coordinator অরুণ গুপ্তা জানান, বাংলাদেশের এই সাফল্য ২০০৫ সাল থেকে তাদের প্রচেষ্টার ফল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওই দেশের স্বাস্থ্য দফতর মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রতি যে নজর দিয়েছে এই সমীক্ষাতে সেটাও উঠে এসেছে।’
শিশুদের পুষ্টি এবং ভালো স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)-র যে নীতি সেটা মেনেই কাজ করে এই সংস্থা। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বুকের দুধ খাওয়ানোকে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন করছে। এই সঙ্গেই নিয়মিত এবং নিয়ম মেনে বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুদের কী কী উপকার হয় সেটাও বাংলাদেশে প্রচার করছে এই সংস্থা।
ছ'মাস বয়স পর্যন্ত শিশুরা শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান করবে বলে বলা হয়েছে। মাতৃদুগ্ধ শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। সেই সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকিও কমিয়ে দেয় বলে বলা হয়। যারা এই তালিকাতে লাল রঙ পেয়েছে, সেই সব দেশকে এই নিয়ে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।