‘নতুন ডিজিটাল বাণিজ্য আইন ই কমার্স বাজার প্রসারে বাধা সৃষ্টি করবে’

digitalsomoy

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে ডিজিটাল বাণিজ্য আইনের খসড়া করেছে, তার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, নতুন আইনের চেয়ে ভোক্তা অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগেই ডিজিটাল বাণিজ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব। উপরুন্তু ডিবিআইডি বাধ্যতামূলক করতে কারাদণ্ডের যে বিধান রয়েছে খসড়া আইনে তা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিকাশের পথকে আটকে দেবে। তাই এই আইনকে উদ্যোক্তা নির্ভর ডিজিটাল অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সাংঘষিক বলেই মনে করছেন তারা।

বুধবার বিকেলে বেসিস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে এমন মন্তব্যই তুলে ধরেছেন বক্তারা। আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন ই-কমার্স, মার্কেটপ্লেস, লজিস্টিকস এবং পেমেন্ট কোম্পানির উদ্যোক্তারা।

বেসিস ডিজিটাল কমার্স স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জিয়া আশরাফের সঞ্চালনায় আলোচনার শুরুতেই খসড়া আইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিডিজবস প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর।


মাস্টার কার্ডের বাংলাদেশী প্রধান সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল, ভিসা বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোঃ নাসিমুল ইসলাম, এসএসডি টেক এর আল বেরুনী, ফুডপ্যান্ডার গাজী তৌহিদ আহমেদ, চালডাল সিইও ওয়াসিম আলিম,দারাজ প্রতিনিধি শাহরিয়ার আন্দালিব, আই এক্সপ্রেস লিমিটেডের সিইও মোঃ তাজুল ইসলাম, পোলাক্স টেকনোলজি সল্যুশনের সিইও রিপন দে, বিক্রয় ডটকম সিইও ঈশিতা শারমিন, ই-কুরিয়ার সিইও বিপ্লব জি রাহুল, ই-ক্যাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন ও পরিচালক অর্নব মুস্তাফা গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনায় বাক্তারা জানান, ডিজিটাল লেনদেন নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত ২০ টিরও বেশি আইন দেশে রয়েছে। গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্ট সুরক্ষার দায়িত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত। তাদের মতে, ২০২১ সালে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে মূলত বিদ্যমান আইন প্রয়োগ না করার কারণে, আইনের অভাবে তা ঘটেনি। তাদের দাবি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরে সবচেয়ে বড় জালিয়াতিকারী ই-কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি, যদিও পদক্ষেপগুলিকে সমর্থন করার জন্য যথেষ্ট আইন রয়েছে৷