বিকাশের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ 

digitalsomoy

বিকাশের অ্যাপস তৈরির নামে ৫-৭ শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার অভিযোগ তদন্তের দাবিতে রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।  মানববন্ধনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। 

 সংগঠনটির সভাপতি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও অর্থ পাচার রোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা প্রায়ই দেখতে পাচ্ছি বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশী শেয়ার হোল্ডিং প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থ পাচার করছে। এ প্রসঙ্গে, আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জনপ্রিয় পেমেন্ট মাধ্যম বিকাশ বাংলাদেশের একটি বৃহৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যাদের গ্রাহক, ব্যবসা ও রাজস্ব আয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে কোম্পানিটির নীট মুনাফা ছিলো ২৪ কোটি, ৩৪ কোটি, ৪৮ কোটি ও ১৯ কোটি টাকা।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোম্পনীটি হঠাৎ করেই ২০১৯ সালে ৬৩ কোটি টাকা নীট লোকসান দেখায়, যার ধারা ২০২০ সালেও বলবৎ রয়েছে। অথচ কোম্পানীটির রাজস্ব আয় ২০১৭ সালে ছিল ১৭৯৫ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে ২১৮০ টাকা ও ২০১৯ সালে ২৪১৬ কোটি টাকা। অপরদিকে কোম্পানিটি ২০১৯ সালে প্রতি লেনদেনে ৫.০০ টাকা হারে নতুনভাবে চার্জ আরোপ করেছে ও বিভিন্ন ধরনের বিল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ১০-২০ টাকা চার্জ আরোপ করছে; যার ফলে তাদের শুধু সেন্ড মানি ও বিল-পে সেবা থেকেই কোম্পানিটির বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হচ্ছে। এরূপ উত্তরোত্তর ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পরও কোম্পানিটির লোকসান দেখানো সত্যিই সন্দেহজনক।

এতে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু বককর সিদ্দিক, অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম (বোআফ) এর সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময়, মোবাইল ব্যাংক রিচার্জ এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, জাতীয় কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, লোটাস জামিল, মিলনসহ প্রমুখ। 

মানববন্ধন শেষে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও ব্যাংকিং গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়।