বিপাশা দাশ
শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য। বাঙালি নারীকে দেশীয় শাড়িতে তাদের সৌন্দর্যটা যেন আরও দ্বিগুন হয়ে ফুটে উঠে। জামদানি বাংলাদেশের একটা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি। বিভিন্ন রকম সুতার কাউন্টের উপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়ে থাকে। আধুনিকতার জোয়ারে সম্প্রতি এই শাড়িটির জনপ্রিয়তা অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছিল।
কিন্তু তার জনপ্রিয়তা আবার ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দিয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)। যত দিন যাচ্ছে নানা উৎসব, অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তত এই দেশীয় জামদানি শাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলছে। এই দেশীয় জামদানি শাড়ির হারানো জনিপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে এক জামদানি উৎসব আয়োজন করেছে চট্টগ্রামের দুই উদ্যোক্তা। তারা হলেন কাঁকন'স এট্যায়ার স্বত্বাধিকারী রোকেয়া কেয়া এবং রিঁপছোয়ার স্বত্বাধিকারী নুসরাত জাহান রিপা।
সম্প্রতি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শায়লা স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয় এই জামদানি উৎসব এবং কাস্টমার মিট আপ। অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ১১০ জনের মতো নারী উদ্যোক্তা এবং কাস্টমার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে হাসিনা মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট থেকে বিজয় বসাক বিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর বিভাগ), চট্টগ্রাম তিলোত্তমার ফাউন্ডার শাহেলা আবেদিন, মেক আপ সেক আপ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রাহিলা সুলতানা জুহি, পাচলাইশ সেক্রেটারি সেলিম স্যার, পাচলাইশ জিনিয়া ম্যাম এবং বাংলাদেশ সিটিভির মাঈনুদ্দিন স্যার প্রমুখ।
এই উৎসবের মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করা হয় কীভাবে দেশীয় পণ্যকে চাইলেই মানুষ যেকোন খাতে ব্যবহার করতে পারে। সাধারণত বিয়ে বা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান হলেই দেখা যায় ইন্ডিয়ান বেনারসি, ইন্ডিয়ান কাতান এই সবগুলো দিয়ে অনুষ্ঠানগুলো হয়ে থাকে। কিন্তু এই উদ্যোক্তারা একটা র্যাম্প শো করার মাধ্যমে দেখালেন জামদানি দিয়ে শুধুমাত্র বিয়ের কনে নয়, বিয়ের কনে, ওয়ালিমা, একজন অফিসকর্মী, পহেলা বৈশাখ, একজন গ্রামের বধূ, গায়ে হলুদসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান জামদানি দিয়ে করা যায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় তারপর একটি র্যাম্প শো এর মাধ্যমে জামদানির বিভিন্ন ফিউশনকে প্রেজেন্ট করা হয়। জামদানি লেহেঙ্গা, আরো বিভিন্ন রকমের ফিউশন দিয়ে। অনুষ্ঠানটি দেখে সবাই জামদানি শাড়ির প্রতি অনেক বেশি উৎসাহিত হয়।
আয়োজকরা জানান, শাড়িতে নারীর আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠে। বাংলাদেশের জামদানি একটা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি। অনেক কাল থেকে নারীর কাছে এর জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু আধুনিকতার জোয়ারে এর জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে যাচ্ছিল। বিয়ে বা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান হলেই আমরা দেখতে পাই ইন্ডিয়ান বেনারসি, ইন্ডিয়ান কাতান এই সবগুলো দিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। এটা যে শুধু বিয়ের কনে সাজানোতে সীমাদ্ধ নেই অন্যান্য বিশেষ দিবস ও অনুষ্ঠানে এটাকে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে চট্টগ্রামবাসীকে সচেতন করে তুললে আমাদের এই আয়োজন জামদানি উৎসব এবং কাস্টমার মিট আপ। সবার অনেক সাড়া পেয়েছি। আশা করছি আগামীতেও ভাল কিছু করতে পারবো।