৩৮ শতাংশ ভারতীয় শিশু সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত

digitalsomoy

বিপন্ন শৈশব! না, শিশুশ্রম, বা আর্থিক দুর্গতির জন্য নয়। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়েও অনেক শিশু শৈশবের সোনালি দিনগুলো উপভোগ করতে পারছে না। এক সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ৩৮ শতাংশ শিশুর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আছে। যেগুলো আবার বেআইনিভাবে খোলা। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে।

জাতীয় শিশু সুরক্ষা রক্ষা কমিশনের করা এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতের ১০ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের মধ্যে ৩৭.৮ শতাংশেরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। অর্থাৎ যে বয়সে শিশুদের অবসর সময়ে খেলাধুলো করার কথা, সেই বয়সে তাঁরা মোবাইলে মুখ গুজে বসে থাকছে। তাছাড়া ১০ বছরের নিচে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলাটা আইনবিরুদ্ধ। ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী ওই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে অন্তত ১৩ বছর বয়স হতে হয়। শুধু তাই নয়, ফেসবুকের গণ্ডি পেরিয়ে ইনস্টাগ্রামেও পা রাখছে দেশের বহু শিশু। এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ২৪.৩ শতাংশ শিশুর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলাটাও আইন বিরুদ্ধ।

ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশের ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশ কোনও না কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত। সমীক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ধরনের বহু তথ্য, ছবি, ভিডিও ঘুরে বেড়ায় যা শিশুদের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। সুতরাং এই বিষয়টিতে আরও নজর দেওয়া উচিত। এবং শিশুরা যাতে অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে, সেদিকে নজর রাখা উচিত। ওই সমীক্ষায় আরও দুটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এক, দেশের ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে ৩০.২ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। দুই, যে সমস্ত শিশুর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আছে, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবথেকে বেশি পছন্দ করে চ্যাটিং করতে। এই অতিমারী আবহে অনলাইন ক্লাস বা টিউশনের দরুন ঘরবন্দি শিশুদের মধ্যে স্মার্টফোন তথা সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি বাড়ছে। যা কিনা শৈশব বিপন্ন করার পাশাপাশি শিশুদের ভবিষ্যতের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।