কালজয়ী কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। তিনি বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতমদের এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তার সমকালীন সময়ে ব্রাহ্মণ ও জমিদার শাষিত সমাজে বাংলার সাধারণ মানুষ কেমন ছিল তা নিখুঁতভাবে তুলে ধরেন এই সাহিত্যিক
তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোয় অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি, পল্লীসমাজ, দেবদাস, চরিত্রহীন, শ্রীকান্ত, দত্তা, গৃহদাহ, পথের দাবী, পরিণীতা, শেষ প্রশ্ন প্রভৃতি তার বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার কারণে তিনি ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’ নামে খ্যাত। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায়।
শরৎচন্দ্রের পাঁচ বছর বয়সকালে মতিলাল তাকে দেবানন্দপুরের প্যারী প-িতের পাঠশালায় ভর্তি করে দেন, যেখানে তিনি দু-তিন বছর শিক্ষালাভ করেন। তেজনারায়ণ জুবিলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিভাগে এনট্রান্স পরীক্ষা পাস করেন শরৎচন্দ্র।
কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র ভাগলপুর শহরের আদমপুর ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে খেলাধুলো ও অভিনয় করে সময় কাটাতে শুরু করেন। এই সময় প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন, যার ফলে তিনি ‘বড়দিদি’, ‘দেবদাস’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’ ইত্যাদি উপন্যাস এবং ‘অনুপমার প্রেম’, ‘আলো ও ছায়া’, ‘বোঝা’, ‘হরিচরণ’ ইত্যাদি গল্প রচনা করেন।
রৎচন্দ্র ১৯০৩ সালের জানুয়ারি মাসে রেঙ্গুনে লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের ভগ্নিপতি উকিল অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে যান। অঘোরনাথ তাকে বর্মা রেলওয়ের অডিট অফিসে একটি অস্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। ১৯০৬ সালের এপ্রিল মাসে বর্মার পাবলিক ওয়ার্কস অ্যাকাউন্টস অফিসের ডেপুটি একজামিনার মণীন্দ্রনাথ মিত্রের সাহায্যে শরৎচন্দ্র রেঙ্গুনে এই অফিসে চাকরি পান ও পরবর্তী দশ বছর এই চাকরি করেন।