কুষ্টিয়ায় ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর, ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা

digitalsomoy

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার পরে গাড়ি চালক মো. বাদশা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। 

এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। রবিবার সন্ধায় এতথ্য নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেফতার নেই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছেন।

জানা গেছে, গত শনিবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পিছন থেকে ছুড়া ইটের আঘাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়। 

তবে রাতে পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা অস্বীকার করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন খোকন। তিনি বলেন,  সন্ধ্যায় জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর হোটেল মোড়ে বাবুল আখতারের সমর্থক ও জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে হাতুরিপিটা করেন। হয়তো সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন বাবুল আখতারের লোকজনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে এঘটনা ঘটতে পারে। আমি বা আমার লোকজন ইউএনওর গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত নয়।

খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন,  বর্তমানে খোকসায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি গাড়ি ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শনিবার রাতে দুপক্ষের উত্তেজনা ঠান্ডা করে কার্যালয়ে ফিরছিলাম। ফেরার পথে বাবুল আক্তার ও শান্ত সাহেবের অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় পৌছালে সরকারি গাড়ির পিছনে ইট লাগে। এতে পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন