বাজুস নেতাকে পিটিয়ে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

digitalsomoy

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক আব্দুল জলিলকে (৩০) পিটিয়ে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাজুস নেতা আব্দুল জলিল।

বাজুস নেতা আব্দুল জলিল আদিতমারী উপজেলার টেপা পলাশী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় নামুড়ি বাজারে শাকিল জুয়েলার্সের মালিক এবং উপজেলা বাজুসের প্রচার সম্পাদক।

অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে এরশাদ আলী (৩৫), আশরাফুল হকের ছেলে লুৎফর রহমান (৪২), মিতু মিয়া (৩০) ও টিপু মিয়া (২৩)।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বাড়ি থেকে নামুড়ি বাজারের স্বর্ণের দোকানে যাচ্ছিলেন বাজুস নেতা আব্দুল জলিলের ছোট ভাই শাকিল রহমান। এ সময় পলাশী বাজারে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করাকালে অভিযুক্তরা পথরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধার করতে ছুটে যান বাজুস নেতা আব্দুল জলিল ও তার আরেক ছোট ভাই প্রবাসী শহিদুল ইসলাম। এসময় অভিযুক্তরা তাদেরও মারধর করে কাছে থাকা চার ভড়ি ওজনের আটটি স্বর্ণালংকার ও ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। আহত শাকিল ও শহিদুলকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাজুস নেতা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বাদী বাজুস নেতা আব্দুল জলিল বলেন, হামলাকারীদের ধারণা ছিল শাকিলের কাছে স্বর্ণালংকার আছে। এই ধারণা থেকেই তারা শাকিলকে আটক করে মারধর করে। একই সময় আমরা দুই ভাই মোটরসাইকেলে করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। স্থানীয়রা মোবাইলে বিষয়টা জানালে আমরা দুই ভাই ছুটে গেলে আমাদের ওপরও হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় তারা চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।