ইরানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল?

digitalsomoy

আপাতদৃষ্টিতে ইরানের হামলা হজম করলেও ইহুদী রাষ্ট্রটি যে ছেড়ে কথা বলবে না, তা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কথাতেই স্পষ্ট।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলের বিমান হামলার পর প্রতিশোধ হিসেবে গত শনিবার ইসরায়েলে ৩শ’র বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান।

হামলার পর ইসরায়েলকে সংযত থাকতে পশ্চিমা মিত্ররা আহ্বান জানালেও নেতানিয়াহু বলেছেন, হামলার জবাব সময়মতো দেওয়া।

দেশটির যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভারও একই মনোভাব। ইরানে সম্ভাব্য হামলার চক কষতে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে এই মন্ত্রিসভা।  

তবে কবে, কীভাবে হামলার জবাব দেওয়া হবে, তার কোনো বিস্তারিত জানায়নি দেশটি।

ইসরায়েল হামলা চালালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু স্থাপনা আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে পরমাণু স্থাপনা, সামরিক স্থাপনাসহ আরও কিছু লক্ষ্য রয়েছে। 

আকাশপথে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত

গত শনিবার রাতের হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া ইসরায়েল এবং এর মিত্রদের বহুস্তর বিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষার তুলনায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বেশ দুর্বলই বলা যায়।ফলে ধরে নেওয়া যায়, ইরানে ইসরায়েলের মূল আঘাতটি হতে পারে আকাশপথে, আর এর লক্ষ্য হতে পারে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো।এক্ষেত্রে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ঘাঁটি কিংবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রসহ ইরানের কৌশলগত অবস্থানগুলো সম্ভাব্য ইসরাইলি বিমান হামলার লক্ষ্য হতে পারে।

তবে এটি ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং আগ্রাসী পছন্দ হতে পারে, কারণ এতে ইসরায়েল আবারও ইরানের বয়াবহ রোষের মুখে পড়ে পারে, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এই শঙ্কাই এড়াতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব।