এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ

digitalsomoy

ঢাকা: সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে রোববার (৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি।  

এদিন আপিল বিভাগ বসার পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বেলা ১১টা থেকে বন্ধ থাকবে।

এর আগে দুই দফা জানাজা শেষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীকে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

প্রথম জানাজা রাজধানীর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে শনিবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাদ আসর সম্পন্ন হওয়ার পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।  

জানাজায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শ ম রেজাউল করিম, মাহবুব আলী, সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।

জানাজা শেষে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বার। তার আগে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি, এ জে মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মেয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন।  

গত বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে (বাংলাদেশ সময়) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী (৭২) ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পরদিন সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে আনা হয়।

আব্দুল জামিল (এ জে) মোহাম্মদ আলী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছিলেন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্য।  

গত ২ মে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  

তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। ১৯৭৮ সালে ঢাকা জেলা জজ আদালতে, ১৯৮০ সালে তিনি হাইকোর্টে ও ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

২০১৩-১৪ সেশনে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।