‘সিত্রাং’ আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে এসেছে, যে ১৩ জেলায় আঘাত হানবে’

digitalsomoy

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে এসেছে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। সিত্রাং দেশের ১৩টি জেলায় মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় চূড়ান্তভাবে আঘাত হানবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিত্রাং উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩টি জেলায় বেশ মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে। আর দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে। এ ১৩টি জেলা হচ্ছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা,  বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী। অর্থাৎ চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দীপ অঞ্চলগুলোতেও বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে। এগুলোতে লোক সরানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। এরই মধ্যে আমাদের মানবিক সহায়তা পৌঁছে গেছে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শতভাগ মানুষকে সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে। এ জন্য ৭ হাজার ৩০টির মতো শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৮) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মোংলা ও পায়রাবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।