নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও দফায় দফায় গোলা বর্ষণ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

digitalsomoy

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দফায় দফায় ফের গোলা বর্ষণ ও মর্টারশেলের শব্দ শোনা গেছে। গত কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকলেও সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড বিস্ফোরণের এ শব্দ শোনা যায়। এ সময় সীমান্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় মুহুর্মুহু গুলি ও মর্টারের গোলার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। 

সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ২টায় বি‌জি‌বির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর বিকাল থে‌কে আজ সকাল পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তের ১৮, ৩১, ৩৪ ও ৩৫, সদর ইউনিয়নের আশারতলী, ফুলতলী ও জামছড়ির ৪৫ ও ৪৬ নং পিলারের কাছাকাছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হেলিকপ্টার থে‌কে কিছুক্ষণ পর পর গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। একইভাবে গোলাগুলি হয়েছে টেকনাফের সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের অভ্যন্তরেও। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন (৫০) বলেন, ‘ভোরে ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দে এপারের শিশুদের ঘুম ভেঙেছে। এতই বিস্ফোরণ হচ্ছিল যেন ভূমিকম্প চলেছে।’

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আলম বলেন, ‘আজও সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট তিন দফা মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ফায়ারিংয়ের শব্দ শোনা গেছে। আবার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কিছু দূরের স্থলভাগ থেকে অনবরত গোলাগুলির আওয়াজও শুনেছি।’

তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মো. সরোয়ার বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সীমান্তে যা ঘটছে তা নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। অদূর ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা নিয়ে প্রতিবেশীরাও আতঙ্কিত।’

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক বেড়েছে।