অক্টোবরে চালু হবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ

digitalsomoy

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেছেন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কমোডিটিজ নিয়ে কাজ করছে৷ সিএসই কমোডিটি চলতি সালের অক্টোবরের মধ্যে চালু হবে বলে তিনি বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন৷

শুক্রবার (৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আয়োজিত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সিডিবিএল, সিসিবিএল, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের অংশগ্রহণে গাজীপুরের ব্র্যাক সিডিএমে দুদিন ব্যাপী (২-৩ মে) ফিনান্সিয়াল ডারভাইটিভস অন এক্সচেঞ্জ ট্রেড প্লাটফর্ম শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন৷ 

আব্দুল হালিম বলেন, ডেরিভেটিবস নিয়ে আজকের ওয়ার্কশপই শেষ নয়। এটা নিয়ে আরও অনেক প্রোগ্রাম করতে হবে৷ বিশ্বের অনেকে দেশে এ বিষয়ে অনেক আগে থেকে চালু আছে।

তাই যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করবেন তারা প্রয়োজনে সেসব দেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে আসতে হবে। শুধুই ইকুইটি দিয়ে মার্কেট বড় হবে না। মার্কেট বড় করতে আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্য দরকার। সিসিবিএল-এর কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ এরই মধ্যে ডেরিভেটিবস নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং সিএসই  কমোডিটিজ নিয়ে কাজ করছে৷ সিএসই কমোডিটিজ ২০২৪ সালের অক্টোবর এর মধ্যে চালু হবে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে বাজার এ অবস্থায় থাকবে না। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অনেক ভালো হবে। বাইরে থেকে কেউ এসে বাজার ভালো করে দেবে না। এখানে যারা আছে তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে, এখানে কি সমস্যা আছে, আর কি কাজ করা যায়। তাহলেই বাজার ভালো হবে। অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন হয়েছে, সে অনুযায়ী আমাদের রোল পরিবর্তন হওয়া উচিত। ২৫ সালের মধ্যে এ ডেরিভেটিস পণ্য চালু হবে বলে আমি আশাবাদী এরমধ্যে সিসিবিএলও তার কার্যক্রম শুরু করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, গতানুগতিক চিন্তা করলে হবে না। একটু ভিন্নভাবে ভাবতে হবে। বাজারে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। শুধু করার জন্য ওয়ার্কশপ করলে হবে না। আপনাদের ভাবতে হবে আমরা এটা করব। সেক্ষেত্রে সিসিবিএলের সমস্যা দেখব না সিসিবিএলের বড় শেয়ারহোল্ডার ডিএসই। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে সমস্যার কথা জানান। দরকার হলে সেগুলো নিয়ে আলাদা ওয়ার্কশপ করেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম৷

ডিএসই’র মার্কেট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোঃ ছামিউল ইসলামের সঞ্চালনায় দুদিন ব্যাপী কর্মশালার স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, ডিএসইও তার পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ আনতে আগ্রহী। আমরা নিয়ম/বিধি প্রণয়নের জন্য বিএসইসি’র সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি এবং খুব শিগগিরই ডেরিভেটিভ মার্কেট শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর্থিক খাতের ডেরিভেটিস পণ্য বাংলাদেশের জন্য খুবই সময়োপযোগী। ডেরিভেটিভ পণ্যগুলো অত্যন্ত পরিশীলিত পণ্য এবং ঝুঁকি হ্রাসের জন্য একটি কার্যকর হাতিয়ার যা পুঁজিবাজারের তারল্য প্রবাহ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর দক্ষতা প্রদান করে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।